এককালীন জমাকৃত অর্থ নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সুদ-মূলে দ্বিগুণ হবে।
যেকোন প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী সুস্থ মস্তিস্কের ব্যক্তি একক অথবা যৌথ নামে এই স্কিমের অধীনে হিসাব খুলতে পারবে।
অভিভাবক কর্তৃক পরিচালনায় একজন নাবালকের নামেও এই হিসাব খোলা যেতে পারে।
এককালীন জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা অথবা এর গুণিতক হবে; তবে সর্বোচ্চ ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার অধিক হবে না।
মেয়াদপূর্তীতে স্কিমটি পুন:নবায়নযোগ্য নয়।
হিসাবটি পরিচালনায় ব্যাংকের নিজস্ব কোন চার্জ/ফি নেই, কেবলমাত্র সরকারী চার্জসমূহ (শুল্ক ও কর) প্রযোজ্য হারে কর্তন করা হবে।
২. মেয়াদকাল ও সুদ হার:
১০ (দশ) বছর শেষে স্থায়ী আমানত স্কিমটি সুদে-মূলে দ্বিগুণ হবে (কর ও শুল্ক ব্যতীত) যা হিসাবায়নে বার্ষিক ৭.১৭% চক্রবৃদ্ধি সুদ হার প্রযোজ্য হবে; হিসাবের মেয়াদকাল এবং সুদ হার সময় সময় পরিবর্তনযোগ্য।
ব্যাংক প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তীর পূর্বেও এই স্কিমের আওতায় চলমান হিসাবসমূহের মেয়াদকাল এবং সুদ হার যেকোন সময় পরিবর্তন করতে পারবে।
৩. কর ও শুল্ক:
রাজস্ব বিভাগ ও সরকারের অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারে প্রতিবছর প্রযোজ্য কর, শুল্ক, ইত্যাদি কেটে রাখা হবে।
৪. মেয়াদপূর্তীর পূর্বে নগদীকরণ:
হিসাব খোলার ১২ (বার) মাস তথা ১ (এক) বছরের মধ্যে হিসাবটি নগদায়নের ক্ষেত্রে কোন সুদ হার প্রযোজ্য হবে না।
১ বছর থেকে হিসাবের মেয়াদকাল শেষ হবার পূর্ব পর্যন্ত প্রতি পরিপূর্ণ বছরের জন্য “১ (এক) বছর ভিত্তিক স্থায়ী আমানত (এফডিআর)”-এর সুদ হারে বার্ষিক সরল সুদ প্রযোজ্য হবে; ভগ্নাংশ বছরের জন্য কোন সুদ হার প্রযোজ্য হবে না।
মেয়াদপূর্তীর পূর্বে নগদায়ণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রদত্ত সুদ, সরকারী কর ও শুল্ক, ইত্যাদি প্রয়োজন মোতাবেক সমন্বয় করা হবে।
৫. ঋণ সুবিধা:
স্কিমটির বিপরীতে অনুমোদিত সর্বোচ্চ ঋণসীমা মোট আমানত স্থিতির ৯০% (সুদ ব্যতিত); স্কিমটি পূর্বস্বত্ব তথা লিয়েন রেখে শাখা নিজ ক্ষমতাবলে এই ঋণ প্রদান করতে পারবে। তবে, নাবালকের হিসাবের বিপরীতে এই ঋণ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
ঋণের সুদ হার আমানত স্কিমে প্রযোজ্য সুদ হার অপেক্ষা ২.০০% বেশি + ঋণ সীমার উপর বার্ষিক ১.০০% প্রসেসিং ফি প্রযোজ্য হবে।
ঋণ চুক্তির শর্ত মোতাবেক বিতরণকৃত ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
ঋণ সমন্বয়ে ব্যাংক প্রয়োজনে ‘রাইট অব সেট অফ’ Right of Set-off ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।